হাবি জাবিঃ ঈদ মোবারক
ঈদ মোবারক আামার সকল বন্ধু, বান্ধব, পরিবারের সদস্যদের। অনেক দিন ধরেই লিখব ভাবছিলাম, কিন্তু নতুন সেমেস্টারের চাপে ঠিক কুলিয়ে উঠা হয় নাই এখনও। সামনে স্বাভাবিক ভাবেই চাপ আরো বাড়বে। কি আর করা, ঈদ নিজের দেশে না করতে পারলে কি হয়েছে, নিজের ভাষায় একটু দুঃখ তো প্রকাশ করতে পারি।
আমরা ৩০ টা রোজা রাখছি এ বছর, সেইটা আমে জানি এক সপ্তাহ আগে থেকে। খোজ করলে হয়তো আরো আগে জানতে পারতাম। আর আম্মা অনেক আশায় ছিল, ২৯ টা রোজায় পার করবে, আর কালকে ঈদ করবে, শেষ মূহুর্তে জানলো কালকে ঈদ না। আমি তো অনেক খুশি। আমি ৩০ টা রোজা রাখবো, আর দেশে মানুষ একটা ফাকি দিবে, তা তো হয় না। একটা রোজা কম বেশি বড় কথা না, দেশ এ সবাই যে একটা আগ্রহে অপেক্ষা করতো, কালকে কি ঈদ হবে, নাকি না, সেই উত্তেজনাটা এই খানে নাই, আসল ঈদ এর কথা তো বাদই দিলাম। দেশ এ ‘রমযান এর ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ গানটা শুনলে যেই খুশিটা লাগতো যে কালকে আর রোজা নাই, সেইটার খুশি পালন করার আগেই আরো খুশির খবর – কালকে ঈদ! এতো খুশি এখন রাখি কোথায়। আর এইখানে সব কিছুই আগের থেকে ঠিক করা। ঈদ এর মজা তো নাই, ঈদ কালকে কি পরশু, সেই উত্তেজনাটাও নাই!
সেই খানে থামলেও তো হত, এক এক জায়গায় এক এক দিন ঈদ। এমন না যে বড় দেশ, বিভিন্ন শহরে বিভিন্ন সময় ঈদ, একি শহরে দুই দিন ঈদ। এই রচেষ্টারে ঈজিপ্ট এর অনেক মানুষ আছে, তারা আবার আরব দেশে যেই দিন ঈদ, সেই দিন ঈদ করবে। প্রতিবছর দেশে খবরে দেখায় আমাদের দেশ এও এক শহরের লোক আছে, যারা এইরকম আরব দেশের সাথে মিলায় ঈদ করে। ঐ জাতের মানুষ এই খানে অনেক আছে। এখন বাঙলিরা যখন ঈদ করে আমারও তখন ঈদ। কিন্ত, এর আসলে ভালো দিক আছে। বাঙালি এবং আমজনতার ঈদ এর দিন, এই বছর আমার ক্লাস নাই। কিন্তু যদি ক্লাস থাকতো, তাহলে আমি ঔ ঈজিপ্টিয়ান মসজিদে নামাজ পরে নিতে পারতাম। ঃ) শুধু তাই না, এই সুযোগে একটা রোজা ফাকি ও মারতে পারতাম, জােয়জ ভাবে। আমার ক্ষোভ প্রকাশ না করে আসলে খুশিই হওয়া উচিৎ!
দেশ থেকে যারা আমার মত পড়তে আসে, তারা ঈদে অথবা আত্মীয়দের বিয়েতে হয়ত সব থেকে বেশি মনে করে দেশের কথা। গত বছর পড়ার আরো বেশি চাপ থাকায় অন্য জিনিসের চিন্তা মাথায় আসার সুযোগ হয়নি। কিন্তু তার পরেও গত বছর এই বছর থেকে অনেক বেশী দেশের কথা মনে হয়েছে। এই বছর আরো বেশি যান্ত্রিক হয়ে গিয়েছি হয়ত, বলতে গেলে খুব বেশি খারাপ লাগছে না! এই বছর আগের বছর থেকে অবসর সময় বেশি হওয়ার সুবাদে নিউ ইয়র্কে আমার চাচার বাড়ীতে যাচ্ছি সপ্তাহ শেষে। তাতেই মনে হচ্ছে বিশাল ব্যপার – ঈদ হচ্ছে। হায়রে এমেরিকা, এক বছরে আমার ঈদ এর সংজ্ঞা কোথা থেকে কোথায় নামায় দিল! সত্যি কথা হল, যারা দেশ থেকে দূরে আছে, এইটুকুই জুটেনা অনেক মানুষের। যা পাচ্ছি – এই কি বেশি না!
সবাইকে আবার ঈদ মোবারক।
Tags: ঈদ মোবারক, হাবি-জাবি
2008/10/01 at 4:02 am |
কিছু মনে কইরেন না, নওশাদ ভাই। আমি আপনার লেখাটা পুরা পড়ে শেষ করতে পরলাম না; দাঁড়ি-কমায় প্রচন্ড সমস্যা আছে এই লেখায়! 😦
2008/10/01 at 4:19 am |
ধন্যবাদ ভাই তোমার মন্তব্যের জন্য। আমার বাংলা বরাবরই বেশ খারাপ আসলে, সুতরাং মন্তব্যে খুশি হলাম জেনে যে আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে লিখা। হাবি-জাবি নামটা কেন দেওয়া হয়েছে এখন নিশ্চই বুঝতে পারছ!
2008/10/01 at 3:05 pm |
ভাবলাম নতুন কিছু লিখছিস। পরে দেখি ফেসবুকের টাই…
আমিও চাইতেছিলাম একদিন আগে ঈদ হোক। কিন্তু হইল না 😦
বদদোয়াটা কে করছে বোঝা গেল